মাছি কামড়ালেঃ
মাছি কামড়ালে ঐ স্থানে পেঁয়াজের রস, লেবুর রস, তুলসী পাতার রস ঘষলে জ্বালা-যন্ত্রনা সেরে যায়।
মাকড়সার বিষঃ* শরীরে মাকড়সার বিষ লাগলে দেরি না করে গাওয়া ঘি লাগালে বিষ ছড়াতে পারে না এবং চুলকানি ও জ্বালাবোধ কমে যায়।
* মাকড়সার বিষ শরীরে লাগলে আমচুর জলে পিষে চন্দনের মতো করে আক্রান্ত জায়গায় লাগালে ঈ বিষ নষ্ট হয়ে যায় এবং জ্বালা-যন্ত্রণা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
বিষাক্ত পিঁপড়া কামড়ালেঃ
* রসুনের কোয়া থেকে রস বের করে আক্রান্ত স্থানে লাগালে জ্বালা কমে যায়। তাছাড়া তুলসী পাতার রস বা গোলমরিচ গুড়ো ও ভিনেগার এক সাথে মিশিয়ে জ্বালা স্থানে লাগালে বিশেষ ভালো ফল লাভ হয়।
বিষাক্ত পোকা বা বিছে কামড়ালেঃ
* আলকুশী ১ চামচ গরম জলে ফুটিয়ে আঠার মতো করে লাগালে উপকার হবে। অথবা পেঁয়াজ বাটা লাগালে উপকার হবে।
মৌমাছি, বোলতা বা ভিমরুল কামড়ালেঃ
* ক্ষতস্থানে লবণ গুড়ো করে কেরোসিন তেলের সঙ্গে পেষ্ট করে ঘষে ঘষে লাগালে বা ছোট পিপুল জলে ঘষে চন্দনের মতো করে লাগালে বিশেষ উপকার হয়।
* লবন ও তুলশী পাতা বেটে লাগালেও জ্বালা ও ব্যথা সেরে যায়।
ইঁদুর বেড়াল বা নেউলে কামড়ালেঃ
* ক্ষতস্থানে পুদিনা পাতার প্রলেপ দিন সেরে যাবে।
আফিং খেয়ে বিষক্রিয়া হলেঃ
* আধা কাপ কলমী শাকের রস খাইয়ে দিলে বিষক্রিয়া নষ্ট হয়ে যায়।
খাদ্য বিষক্রিয়া হলেঃ
* আধা চামচ গোলমরিচ ও ৪টা ছোট এলাচ গুঁড়ো করে গরম জলে ফুটিয়ে সেই জল ঠান্ডা করে অল্প অল্প করে খাওয়ালে খাদ্য বিষক্রিয়া নষ্ট হয়।
যে কোন ধরনের বিষক্রিয়াতেঃ
* কেউ যদি ইচ্ছাকৃত বা ভুল বশত কোন বিষ পান করে থাকে বা কোন ভাবে পেটে চলে যায়, বিষ নষ্ট করার জন্য সঙ্গে সঙ্গে ৫০-১০০ গ্রাম গাওয়া ঘি এবং তার সাথে ১৫-২০ টা গোল মরিচ গুঁড়ো করে মিশিয়ে খাওয়ালে বিষের প্রভাব নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়া পেট ভরে দুধ খাওয়ালেও উপকার পাওয়া যায়।
* লবন জল বা অম্ল কোন দ্রব্য খাওয়ায়ে সঙ্গে সঙ্গে বমি করাতে পারলে রোগীর পক্ষে সবচাইতে ভালো হয়।
সিগারেটের অতিরিক্ত নেশা ছাড়াতেঃ
* হরতকী আধা চামচ, কলা পাতার রস এক কাপ করে একবার খাওয়ালে সিগারেটের নেশা ছেড়ে যায়।
মদের নেশা ছাড়াতেঃ
* আধা চামচ হিঞ্চে ও কন্টকারী গুঁড়ো গরম জলে ফুটিয়ে ছেঁকে সেই জল দিনে দুইবার করে খাওয়াতে থাকেন। তাছাড়া সকালে ও বিকালে ১৫-২০ টি কিসমিস খালিপেটে চিবিয়ে খাওয়ালে ভালো ফল পাওয়া যায়। আপেল খাওয়ার অভ্যাস বাড়াতে হবে।