স্বাস্থ্য লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
স্বাস্থ্য লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
রবিবার, ২ এপ্রিল, ২০২৩
অটিজ়ম নিয়ে সচেতনতা বাড়ছে কি ঘরে ঘরে? বড়রা সতর্ক হলে শিশুদের কতটা সুবিধা হয়?
রাইমার ছেলের বয়স যখন ৩ বছর, তখন তিনি খেয়াল করলেন, সে কোনও কথাই বলতে পারছে না। অথচ ওর বয়সি অন্য শিশুরা এর মধ্যেই দিব্যি ‘বাবা-মা-দাদা’ ডাকছে। কেউ কেউ তো আবার ছোট ছোট শব্দে বকবকও করে যাচ্ছে অনায়াসে। কিন্তু রাইমার ছেলে কেমন চুপচাপ তাকিয়ে থাকে। কথা বলা তো দূর। চিন্তার ভাঁজ রাইমার কপালে। এরই মধ্যে কেউ বলেছিল ‘স্পিচ থেরাপি’ করাতে, আবার কেউ ‘হিয়ারিং টেস্ট’ করানোর পরামর্শ দেন। কোনওটিই বাদ দেননি। কিন্তু তাতেও লাভ হল না। শেষে মনোরোগ চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান ছেলেকে। আর তখনই জানতে পারেন, তাঁর ছেলে ‘অটিস্টিক স্পেকট্রাম সিনড্রোম’-এর শিকার।
মস্তিষ্কের বিকাশজনিত সমস্যার নাম অটিজ়ম। ২ এপ্রিল ‘বিশ্ব অটিজ়ম দিবস’। সংবাদমাধ্যম হোক কিংবা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান— নানা জায়গাতেই এই দিনটি পালন করা হয়। সরকারি, বেসরকারি ক্ষেত্রে আয়োজিত হয় বিভিন্ন অনুষ্ঠান, কর্মসূচি।
একটা সময় ছিল যখন প্রাথমিক ভাবে বাচ্চার চোখ বা কানের পরীক্ষার কথা বললেই অনেক অভিভাবক তা মানতে পারতেন না। সন্তানের মধ্যে কোনও প্রতিবন্ধকতা আছে, তা মেনে নেওয়া তো পরের কথা। খুদের মধ্যে কিছু অস্বাভাবিক আচরণ দেখেও অনেকেই মনে করতেন, বড় হলে সব ঠিক হয়ে যাবে। চারদিকে অটিজ়ম নিয়ে এত প্রচারের ফলে কি ছবিটা আদৌ বদলেছে?
বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য ‘প্রদীপ’ নামের একটি স্কুল চালান মল্লিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। দীর্ঘ দিন ধরে অটিস্টিক শিশুদের নিয়ে কাজ করছেন। তিনি বলেন, ‘‘আগের তুলনায় অভিভাবকদের মধ্যে অটিজ়ম নিয়ে সচেতনতা অনেক বেড়েছে। আগে শিশুদের অনেক বড় বয়সে এই সমস্যা ধরা পড়ত। তবে এখন শিশুদের ছোট বয়স থেকেই বাবা-মায়েরা সতর্ক হচ্ছেন। দুই-আড়াই বছর বয়সের শিশুরাও বাবা-মায়েদের হাত ধরে এখন আমাদের স্কুলে আসছে। আগে ৬ থেকে ৭ বছর বয়স পার করে যখন সন্তানের সমস্যা অত্যধিক ভাবে চোখে পড়ত, তখনই অভিভাবকরা সন্তনকে ‘স্পেশ্যাল স্কুল’-এ ভর্তি করানোর কথা ভাবতেন। ছবিটা এখন অনেকটাই বদলেছে। সচেতনতা না বাড়লে এমনটা সম্ভব হত না। কেবল আমাদের মতো সংস্থাই নয়, সরকারি স্তরেও অটিজ়ম নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে অনেক রকম কাজ হচ্ছে। সরকার অটিজ়ম স্ক্রিনিং টুল তৈরি করেছে। আশাকর্মীদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জেলায় জেলায় শিশুদের উপর নজর রাখার জন্য। কোনও শিশুর এ রকম সমস্যা হলে কী ভাবে বাবা-মায়েরা তাঁদের সহায্য করবে, সে বিষয়ে জানাতে আশাকর্মীদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে।’’ যত কম বয়সে শিশুদের এই সমস্যার কথা জানতে পারা যাবে, ততই তাড়াতাড়ি তাদের চিকিৎসা সম্ভব হবে। বাবা-মায়েরা কী ভাবে সতর্ক হবেন? মল্লিকা বলেন, ‘‘শিশুদের বৃদ্ধির একাধিক স্তর থাকে। দৈহিক বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সামাজিক বৃদ্ধিও এমনই একটি স্তর। এ সময়ে শিশু মাকে দেখে হাসে, কোনও কিছুর দিকে আকার-ইঙ্গিতে নির্দেশ করে কিংবা শিশুর শব্দস্ফূরণ হয়। অর্থাৎ, সমাজে চলতে শেখার শুরু হয়। এই প্রক্রিয়াটি সঠিক ভাবে সম্পন্ন না হওয়াই অটিজম স্পেকট্রাম ডিজ়অর্ডারের লক্ষণ। কারও সঙ্গে মেলামেশা না করা, অনেক খেলনার মাঝেও কেবল একটি খেলনা নিয়ে খেলা, নতুন কিছুতে আগ্রহ না দেখানো, নাম ধরে ডাকলে সাড়া না দেওয়া বা একটানা আপন মনে থাকার মতো কিছু লক্ষণ শিশুর মধ্যে দেখলেই সতর্ক হতে হবে। সব অটিস্টিক শিশুর সমস্যা এক রকম হয় না। তাই সমস্যা কতটা রয়েছে, তা বোঝা সবার আগে দরকার। সেই মতো কোন কোন থেরাপি ও ট্রেনিং চলবে, তা নির্ধারণ করি আমরা।’’
অটিস্টিক শিশুদের সাধারণ স্কুলে ভর্তি নেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে চর্চা চলে বিস্তর। যে বাবা-মায়েরা খুদে অস্টিস্টিক জেনেও তাকে সাধারণ স্কুলে ভর্তি করাতে চান, তাঁদের সিদ্ধান্ত কি ঠিক? মল্লিকা বলেন, ‘‘সব বাবা-মা চান যাতে তাঁদের সন্তান সাধারণ স্কুলে যেতে পারে। তবে আমি তাঁদের একটা কথাই বলব, আপনি আপনার মানসিক শান্তির জন্য তাকে স্কুলে পাঠাবেন, না কি তার কিসে উপকার হবে তার উপর গুরুত্ব দেবেন? খুদের যদি সেখানে ক্ষতি হয়, তা হলে কি সেটা মানতে পারবেন?’’ সূত্রঃ আনন্দ বাজার পত্রিকা
বুধবার, ১১ জুন, ২০১৪
বুধবার, ৩০ এপ্রিল, ২০১৪
শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল, ২০১৪
বুধবার, ২৩ এপ্রিল, ২০১৪
মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল, ২০১৪
গরমের বিপদ হিট স্ট্রোক
চৈত্রের শেষে গরমের মাত্রাটা একটু বেশিই পরিলক্ষিত হচ্ছে। এক কথায় প্রচণ্ড গরম। মানুষ গরমের উৎপাতে দিশেহারা। বিশেষ করে যাদের বাধ্য হয়ে প্রচণ্ড গরমে খোলা মাঠে চলাফেরা বা কায়িক পরিশ্রম করতে হয়। গরমের অনেক বিপদের মাঝে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থার নাম হিট স্ট্রোক।
হিট স্ট্রোক কী?
গরমের দিনের একটি মারাত্মক স্বাস্থ্যগত সমস্যার নাম হিট স্ট্রোক।
মস্তিষ্কের শক্তি বাড়াতে সবুজ চা
গ্রিন টি বা সবুজ চায়ের নির্যাসে এমন উপাদান রয়েছে যা জ্ঞানীয় কার্যাবলীকে প্রভাবিত করে এবং মেমরি বাড়াতে সাহায্য করে- ভাবছেন এটি আমার কথা? না, এই তথ্যটি দিয়েছেন গবেষকেরা।
ইউনিভার্সিটি হসপিটারল অফ বেসেলের অধ্যাপক ক্রিস্টোফার বেগলিঙ্গার ও সাইক্রিয়াটিক ইউনিভার্সিটি ক্লিনিকের অধ্যাপক স্টিফান বর্গওয়াডর্ট নতুন এক গবেষণায় দেখেছেন, সবুজ চায়ের নির্যাস মস্কিষ্কের কার্যকরী সংযোগকে বাড়িয়ে দিতে পারে। সংযাগকারী এই প্রভাব প্রকৃত জ্ঞানগত কর্মক্ষমতাকে উন্নত করতে সাহায করে।
ওজন কমাতে ৫ পানীয়
ওজন নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভোগেন অনেকেই। কেউ অতিরিক্ত শুকিয়ে গেলে চিন্তা, আবার কেউ মুটিয়ে গেলেও চিন্তা। তবে মোটা মানুষের চিন্তাই বেশি। আপনি যদি অতিরিক্ত ওজন কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন তবে অবশ্যই স্বাস্থ্যকর, ভারসাম্যপূর্ণ ও পুষ্টিকর খাবার নিয়ম মেনে খেতে হবে। এছাড়াও বেশ কিছু পানীয় আছে যা আপনার শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমাতে সাহায্য করবে। এরমধ্যে পাঁচটি পানীয় রয়েছে যা সবচেয়ে কার্যকরী।
বুধবার, ২ এপ্রিল, ২০১৪
রবিবার, ৩০ মার্চ, ২০১৪
খালি পায়ে হাটা ও দৌড়ানো অনেক ক্ষেত্রেই জুতা পরে হাটার চেয়ে বেশি উপকারী।
খালি পায়ে হাটা ও দৌড়ানো অনেক ক্ষেত্রেই জুতা পরে হাটার চেয়ে বেশি উপকারী। পায়ের বেশ কিছু রোগের জন্য আমেরিকার বিশেষজ্ঞ দল জুতা পরে হাটাকেই দায়ী করেছেন। হার্ভাট বিশ্ববিদ্যালয়ের ইরানী ডেভিস মূলতঃ মানুষের চলাফেরা এবং এর উপরে বর্তমান সময়ের জুতাগুলো স্বাস্থ্যসম্মত কিনা তা গবেষণা করছেন।
ভালবাসার বিপদঃ ব্রোকেন হার্ট সিনড্রোম
বর্তমানে “হৃদয় জোড়া লাগা” ঘটনার প্রবল জোয়াড় চললেও “হৃদয় ভাঙা” ঘটনার স্বাভাবিক স্রোতটুকুও দেখা যায় না। এর কারণ হয়ত সত্যিকারের ভালবাসার ঘটনা আজকাল আর তেমন ঘটে না বলেই। তবে একদমই যে ঘটে না তাও না। আজও অনেকে সত্যিকারের ভালবাসার ফাঁদে পরেন এবং এর কারণে অনেকেরই হৃদয় ভেঙে চুরমার হয়ে যায়, যার কারণে তারা ভুগতে শুরু করেন ভাঙা হৃদয় সিনড্রোম বা Broken heart syndrom থেকে ।
শনিবার, ২৯ মার্চ, ২০১৪
সুন্দর পা কার না পছন্দ, যত্ন নিন পায়ের
নোংরা পানি, কাদা আর ধুলাবালি তো
পথ চললে পায়ে লাগবেই। কিন্তু সঠিকভাবে পা পরিষ্কার করে এদের বিদায়
আপনাকেই করতে হবে।
পথ চলতে যতটা সম্ভব এদের বাঁচিয়ে চলতে চেষ্টা করুন, আর যদি কবলে পড়েই
যান কী করা? যত দ্রুত সম্ভব পা দুটি ধুয়ে নিন। যদি রাস্তায়
সে ব্যবস্থা না থাকে, টিস্যু দিয়ে পা আপাতত মুছে নিন।
মনে করে ব্যাগে ভেজা টিস্যু (ওয়েট টিস্যু) রেখে দেবেন। পা ধোয়ার সময়
গোড়ালি, নখের কোনা, আঙুলের ফাঁক এসব স্থান ভালোভাবে পরিষ্কার করুন।
সোমবার, ২৪ মার্চ, ২০১৪
এক নজরে হার্ট এ্যাটাকের কিছু তথ্য
বন্ধুরা আসুন আজকে জেনে নেই কিছু স্বাস্থ্য বিষয়ে। আজকের বিষয় হার্ট অ্যাটাক কিভাবে হয় । সারাক্ষণ হার্টের কাজ করার জন্য প্রয়োজন হয় অক্সিজেন ও পুষ্টি। এই অক্সিজেন ও পুষ্টি সরবরাহের জন্য রয়েছে হার্টের নিজস্ব রক্তনালি। মূলত তিনটি রক্তনালি তাদের শাখা-প্রশাখার মাধ্যমে রক্ত সরবরাহ করে থাকে হার্টের মাংসপেশিতে। পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু এই তিনটি রক্তনালি বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণেই হয়। নিম্নে তা উল্লেখ করা হল : -
বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ, ২০১৪
সামান্য হাঁটাহাঁটিতে সারতে পারে হাঁটুর ব্যথা।
হাঁটুর ব্যথা মানেই কি বাত? নাকি আর্থ্রাইটিসের সমস্যা? অন্তত ২৮-এর যৌবনে হাঁটুর ব্যথা এমনই চিন্তাদায়ক হয় বইকি। হাঁটু-কোমরের ব্যথা এখন বয়সের গণ্ডি ছাড়িয়ে যেভাবে সর্বজনীন হয়ে পড়েছে, তাতে এহেন চিন্তা খুব অলৌকিক নয়। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে বেশি চিন্তা না করে এক্সারসাইজ করা ভাল। দৌড়সর্বস্ব জীবনে যেভাবে কায়িক পরিশ্রম কমছে, তাতে শরীরের নানা অংশে এমন ব্যথা হামেশাই দেখা দিচ্ছে। প্রথমেই অপারেশনে না গিয়ে বাড়িতেই নানা এক্সারসাইজে, বা সামান্য হাঁটাহাঁটিতে সারতে পারে হাঁটুর ব্যারাম। ডাক্তাররা বললেন, খানিক ফিজিওথেরাপি আর নির্দিষ্ট কিছু ব্যায়াম হাঁটুর ব্যথা কমিয়ে, জয়েন্ট মাসলও একেবারে টানটান করবে অল্প সময়ের মধ্যেই।
বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০১৪
মাথা ঘোরানো যখন সমস্যা
মাথা ঘোরানো আমাদের
এক বিশেষ
ধরনের অনুভূতি।
এর ফলে
কেউ কেউ
নিজেই ঘুরছেন
বলে অনুভব
করেন। অনেকে
আবার তার
চারপাশ ঘুরছে
বলে অনুভব
করেন। অন্তকর্ণের
অসুবিধা অথবা
৮ নম্বর
(ভেস্টিবুলা ককলিয়ার) নার্ভের অসুবিধার জন্য
এমনটি হতে
পারে। উচ্চরক্তচাপের
জন্য মাথা
ঘুরতে পারে।
রোগীর অনেক
সময় কানের
মধ্যে অস্বাভাবিকভাবে
টিন টিন
বা শোঁ
শোঁ শব্দ
হতে পারে।
কখনও কখনও
কানে কম
শুনে থাকেন।
ব্রেনের পেছনে
রক্ত সরবরাহে
ত্র“টি
ও ঘাড়ের
রক্তনালিতে ব্লকের কারণেও মাথা ঘোরাতে
পারে। কোনো
কোনো রোগীর
রক্তে লবণের
তারতম্যের (ইলেকট্রলাইটস ইমব্যালেন্স)
জন্য এমন
হতে পারে।
বাইরে থেকে
শোনা শব্দ
মানুষের কানের
ভেতর গিয়ে
ককলিয়া নামক
ব্যবস্থার মাধ্যমে শব্দশক্তি বিদ্যুৎশক্তিতে পরিণত
হয়। এ
রূপান্তরিত বিদ্যুৎশক্তি অন্তঃকর্ণ থেকে ৮
নম্বর নার্ভের
মাধ্যমে প্রবাহিত
হয়ে ব্রেনের
টেম্পোরাল লোবকে উত্তেজিত করে। তখন
আমরা শব্দের
অর্থ অনুধাবন
করতে পারি।
আমাদের শরীরের
ভারসাম্যের জন্য অন্তকর্ণে ভেস্টিবুলার যন্ত্র
থাকে। এ
যন্ত্র থেকে
ভারসাম্যের তথ্য মস্তিষ্কে পৌঁছে যায়।
একই সঙ্গে
চোখে দেখা,
হাত-পায়ের
স্পর্শ অনুভূতি
থেকে প্রাপ্ত
তথ্য মস্তিষ্ক
মিলিয়ে দেখে।
মেলানো তথ্যের
ওপর ভিত্তি
করে শারীরিক
অবস্থানকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য যাবতীয়
নির্দেশের মাধ্যমে শরীরের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রিত
হয়। প্রতি
সেকেন্ডে, প্রতি মুহূর্তে এ এক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার
খেলা। কানের
ভেতর হওয়া
অস্বাভাবিক টিন টিন, শোঁ শোঁ
বা দপ
দপ শব্দ
সার্বক্ষণিক হতে পারে, আবার মাঝেমধ্যেও
হতে পারে।
এক কানেও
হতে পারে,
আবার দুই
কানেও হতে
পারে। আস্তেও
হতে পারে,
আবার জোরেও
হতে পারে।
একসঙ্গে যখন
কানে কম
শোনা ও
জোরালো শব্দ
হয়ে থাকে,
তখন নার্ভে
সমস্যা মনে
হয়। মেনিয়ার্স
নামক রোগে
অল্পসময় শব্দ
হয়ে থাকে।
দপ দপ
করে শব্দ
হলে রক্তনালির
সমস্যা হয়েছে
বলে মনে
করা হয়।
মাথায় আঘাতে
পেট্রাস বোন
ক্ষতিগ্রস্ত হলে অথবা জোরে ঝাঁকুনি
লাগার ফলে
অন্তকর্ণ বা
ব্রেনের ক্ষতি
হতে পারে।
এতে স্বল্প
বা দীর্ঘমেয়াদি
মাথা ঘোরানোর
সমস্যা দেখা
দিতে পারে।
কিছু কিছু
মাথা ঘোরানো
অল্প সময়ের
জন্য হয়,
মাথার অবস্থার
পরিবর্তনের জন্য কমে-বাড়ে, আবার
নিজে নিজে
কমে যায়।
একে বিনাইন
পজিশনাল ভার্টাইগো
বলা হয়।
মেনিয়ার্স রোগে সাধারণত মধ্যবয়সী লোকেরা
আক্রান্ত হয়ে
থাকেন। মাঝেমধ্যে
প্রচণ্ড মাথা
ঘোরানোর সমস্যা
দেখা দেয়
এবং যেন
এক কানে
কম শোনার
অসুবিধা হয়ে
থাকে। কিছু
ওষুধ যেমন
স্টেপটোনাইসন ও কুইনাইন প্রভৃতির জন্য
মাথা ঘুরতে
পারে। ভাইরাস
ইনফেকশনের জন্য ভেস্টিবুলার নিউরাইটিস নামক
সমস্যা থেকে
হঠাৎ মাথা
ঘোরানো দেখা
দিয়ে ধীরে
ধীরে কমে
যায়। মস্তিষ্কে
টিউমারও মাথা
ঘোরানোর কারণ
হতে পারে।
ব্রেইন স্টেমে
পানি জমে
সিরিঙ্গ বালিম্বয়া
নামক রোগ
হলে মাথা
ঘোরানো দেখা
দিতে পারে।
মাথা ঘোরানোর
জন্য কান
ও চোখের
পরীক্ষা করাতে
হবে। প্রয়োজনে
ব্রেইন সিটিস্ক্যান
বা এমআরআই
ও কানের
পিটিও পরীক্ষা
করতে হবে।
এ ছাড়া
ঘাড়ের রক্তনালির
ডুপ্লেক্স পরীক্ষা করিয়ে নিশ্চিত হতে
হবে কোনো
সমস্যা আছে
কিনা! মাল্টিপল
স্কেরোসিস নামক রোগ ব্রেইন স্টেমে
দেখা দিতে
পারে। ভার্টাইগো
চিকিৎসার জন্য
ইপলে মনোভার
নামক ব্যায়াম
কার্যকর।
বিশেষ করে
বিনাইন পজিশনাল
ভার্টাইগোর জন্য কার্যকর। মেনুভারের মাধ্যমে
আক্রান্ত ভেস্টিবুলার
অ্যাপারেটাসে জমে থাকা অপ্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম
সরে যায়,
ফলে ধীরে
ধীরে ভার্টাইগো
কমে যায়।
মারাত্মক ভার্টাইগোর
ক্ষেত্রে অ্যান্টি-কোলিনার্জিক, অ্যান্টি-হিসটামিন ওষুধের
প্রয়োজন। জটিল
ক্ষেত্রে অপারেশনেরও
প্রয়োজন হতে
পারে। যাদের
দীর্ঘ সময়
অফিসের কাজ
করলে মাথা
ঘোরায়, তাদের
জন্য ডিজি
ফিক্স নামক
একধরনের চেয়ার
আছে। খুব
দ্রুত এই
চেয়ারের পজিশন
পরিবর্তন করা
সম্ভব।
কানে কিছু ঢুকে গেলে
২-৩ বছরের
শিশুদের একটা
সহজাত প্রবণতা
আছে ছোট
কোনো জিনিস
নিয়ে খেলার
সময় নাক,
কান বা
মুখের মধ্যে
ঢুকিয়ে দেয়া।
বড়দেরও অভ্যাস
আছে কোনো
কিছু যেমন-
কটনবাড, মুরগির
পালক, ম্যাচের
কাঠি দিয়ে
কান খোঁচানো
বা চুলকানো।
খোঁচানোর সময় কাঠি ভেঙে বা
কটন কানে
রয়ে যেতে
পারে।
কী কী
জিনিস কানে
ঢুকতে পারে
- *কটন বাড বা তুলার অংশ
- *ম্যাচের কাঠি, পুঁতির দানা, বল-বিয়ারিং
- *পেনসিলের শিস
- *পাখির বা মুরগির পালক
- *শস্যদানা, চাল, ডাল, ধান, ফলের বীজ, মুড়ি, চিড়া
- *রাবার, কাগজ, ফোম, ছোট ছোট খেলনার অংশ
- *অনেক সময় জীবন্ত পোকামাকড় যেমন- মশা, মাছি, ছোট তেলাপোকা, পিঁপড়া ইত্যাদি কানের ভেতরে প্রবেশ করতে পারে।
উপসর্গ
- *কানে প্রচণ্ড অস্বস্তি হওয়া
- *কানে ব্যথা হওয়া
- *কানে কম শুনতে পাওয়া
- *জীবন্ত পোকামাকড় কানে ঢুকে গেলে বিরক্তি ও ভয়েরও উদ্রেক হতে পারে।
চিকিৎসা
কানে যে
কোনো কিছু
ঢুকে গেলে
চিকিৎসা হল,
যত তাড়াতাড়ি
সম্ভব সেটা
বের করে
আনা। এ
জন্য নাক,
কান, গলা
বিভাগ আছে
এমন হাসপাতাল
অথবা ইএনটি
বিশেষজ্ঞের কাছে যেতে হবে। কানে
জীবন্ত পোকা
ঢুকে গেলে
অলিভ অয়েল
দিতে হবে
যাতে এটি
মারা যায়,
তারপর বের
করতে হবে।
অনভিজ্ঞ হাতে
খোঁচাখুঁচি করবেন না বা অদক্ষ
কাউকে দিয়ে
বের করার
চেষ্টা করবেন
না। শিশুরা
ভয়ে কান্না
বা নড়াচড়া
করলে এবং
অসহযোগিতা করলে জোরপূর্বক বের করার
চেষ্টা না
করা উচিৎ।
অজ্ঞান করে
হাসপাতালে বের করাই উত্তম কাজ।
অদক্ষ হাতে
চেষ্টা করার
জটিলতা
- *বহিকর্ণে আঘাত লাগা এবং তা থেকে রক্তক্ষরণ হওয়া
- *কানের পর্দা ফেটে যাওয়া
- *মধ্যকর্ণের ভেতরে থাকা ছোট অস্থিগুলোতে আঘাত লাগা
- *শ্রবণশক্তি কমেও যেতে পারে
মানসম্পন্ন কোম্পানির তৈরি খেলনার প্যাকেটের
গায়ে বয়সসীমা
লেখা থাকে।
এতে আরও
লেখা থাকে,
এ খেলনায়
ছোট ছোট
পার্টস আছে
এবং তা
৩ বছরের
নিচের বাচ্চাদের
ব্যবহারের জন্য নয়। কানে ঢুকতে
পারে এমন
ছোট ছোট
খেলনা দিয়ে
ছোটদের খেলতে
দেবেন না।
কান খোঁচানো
বা চুলকানোর
ব্যাপারে বয়স্কদেরও
সচেতন হতে
হবে। ক্ষতিকর
কোনো কিছু
দিয়ে কান
না খোঁচানো
আঘাত পেলে কী করবেন ????
হঠাৎ আঘাত পেলে
শরীরের বাইরের
ওই নির্দিষ্ট
জায়গায় অতিরিক্ত
চাপ পেলে
ফুলে যায়।
এ ধরনের
আঘাতে যে
সমস্যা হয়
তাকে সফট
টিস্যু ইনজুরি
বলে।
কী হয়-
* আঘাতপ্রাপ্ত জায়গা ফুলে যায়
* প্রচণ্ড ব্যথা হয় ওই অংশটি লাল হয়ে যায় এবং গরম থাকে এবং এটা হয় কোনো দুর্ঘটনায় আঘাত পেলে, খেলাধুলার সময় আঘাত পেলে, মাংসপেশিতে হঠাৎ টান লাগলে কিংবা পা পিছলে পড়ে গেলে- এসব কারণে সফট টিস্যু ইনজুরি হয়। আঘাতের তীব্রতা বেশি হলে হাড় ভেঙে যেতে পারে।
* আঘাতপ্রাপ্ত জায়গা ফুলে যায়
* প্রচণ্ড ব্যথা হয় ওই অংশটি লাল হয়ে যায় এবং গরম থাকে এবং এটা হয় কোনো দুর্ঘটনায় আঘাত পেলে, খেলাধুলার সময় আঘাত পেলে, মাংসপেশিতে হঠাৎ টান লাগলে কিংবা পা পিছলে পড়ে গেলে- এসব কারণে সফট টিস্যু ইনজুরি হয়। আঘাতের তীব্রতা বেশি হলে হাড় ভেঙে যেতে পারে।
কী করবেন
রোগীকে ৬-৭ দিন
পূর্ণ বিশ্রামে
থাকতে হয়।
লক্ষ্য রাখতে
হবে রোগী
আবার যেন
আঘাত না
পায়। আক্রান্ত
জায়গায় বরফ
ব্যবহার করতে
হবে ১৫-২০ মিনিট
ধরে। ভিজা
গামছার ভেতর
বরফ নিয়ে
আক্রান্ত অংশে
মুড়িয়ে দিন।
যদি বেশি
ঠাণ্ডা লাগে
৩ মিনিট
পর উঠিয়ে
ফেলুন শুকনো
কাপড় দিয়ে
মুছে আবার
১২-১৪
মিনিট ধরে
পেঁচিয়ে রাখুন।
আক্রান্ত অংশ
ফুলে গেলে
ক্রেব ব্যান্ডেজ
দিয়ে পেঁচিয়ে
রাখুন। যাতে
আর ফুলতে
না পারে।
আক্রান্ত অংশ
বালিশ বা
অন্য কিছু
দিয়ে উঁচু
করে রাখুন
যাতে হৃৎপিণ্ড
বরাবর থাকে।
এ অবস্থায়
হালকা ব্যায়াম,
হালকা ম্যাসাজ,
আল্ট্রাসাউন্ড থেরাপি ব্যথা কমাতে সাহায্য
করবে।
দ্বিতীয় ধাপ- এ ধাপকে রিপেয়ারিং স্টেজ বলে। এর সময় ৭-২১ দিন। এ সময় ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা হল- ডিপ ফ্রিকশন টেকনিক
বিভিন্ন স্টেচিং
এক্সারসাইজ থেরাপি
মাংসপেশি কন্ট্রাকশন
এক্সারসাইজ
ব্যথা কমানোর
জন্য ইলেকট্রো
থেরাপি নেওয়া
যেতে পারে।
এ ধাপটি
যদি সঠিকভাবে
মেনে চলা
না হয়
তাহলে আক্রান্ত
অংশের মাংসপেশিতে
স্কার বা
অ্যাডহিশন বা দাগ পড়ে, যা
রোগীকে দীর্ঘ
সময় ধরে
ব্যথায় ভোগাতে
পারে।
তৃতীয় ধাপ-
রিমডেলিং ধাপ।
এ ধাপটি
২১ দিন
পর শুরু
হয়। এ
পর্যায়ের উদ্দেশ্য
হচ্ছে রোগীকে
সাপোর্ট দিয়ে
আগের স্বাভাবিক
অবস্থায় এবং
কাজে ফিরিয়ে
আনা। ফিজিওথেরাপিস্ট
রোগীর আক্রান্ত
অংশের এক্সারসাইজ
করাবেন এবং
ডিপফ্লিকশন টেকনিক ব্যবহার করবেন। হিট
থেরাপিও কাজে
আসতে পারে।
এ সমস্যাটি
বা ইনজুরিটি
যদি কোমরে
হয়, তাহলে
যে সমস্যাগুলো
দেখা দিতে
পারে
হাঁচি অথবা
কাশি দিতে
গিয়ে কোমরে
ব্যথা লাগবে
কোমরের ব্যথা
পায়ে ছড়িয়ে
যায় এবং
অনেক সময়
ব্যথা শুধু
পায়েই অনুভূত
হয়, কোমরে
নাও হতে
পারে।
হাঁটলে বা
কাজ করলে
ব্যথা বেড়ে
যায়, রাতে
ঘুমেরও ব্যাঘাত
হতে পারে।
অনেক সময়
রোগী পায়ে
ঝিনঝিন, অবশ
ভাব ও
দুর্বলতা অনুভব
করেন।
কোনো কোনো
রোগীর কোমর
একদিকে বেঁকে
যায় এবং
চিত হয়ে
শুয়ে পা
উঁচু করলে
তার ব্যথা
অনুভূত হবে।
এ অবস্থায়
ভারী জিনিস
উত্তোলন নিষেধ
এবং শারীরিক
ব্যায়াম অবশ্যই
বন্ধ থাকবে।
নরম খাবার
খেতে হবে
যাতে কোষ্ঠকাঠিন্য
না হয়।
এ রোগীর
ক্ষেত্রে প্রথমেই
দরকার ফিজিক্যাল
বা
শারীরিক অ্যাসেসমেন্ট,
তারপর যে
কারণে ব্যথা
হয়েছে সেটা
খুঁজে বের
করা। ব্যথার
কারণ বের
করে যদি
সঠিক অবস্থানে
আনা যায়,
তাহলে ব্যথা
কমে যাবে।
হাড়, জোড়া,
মাংসপেশি, নার্ভ, লিগামেন্টের অবস্থানগত পরিবর্তনের
জন্য ব্যথা
হয়।
লেখক : কনসালটেন্ট-পুপলার মেডিক্যাল
কলেজ অ্যান্ড
হসপিটাল, ধানমণ্ডি,
ঢাকা