বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০১৪

কানে কিছু ঢুকে গেলে


২-৩ বছরের শিশুদের একটা সহজাত প্রবণতা আছে ছোট কোনো জিনিস নিয়ে খেলার সময় নাক, কান বা মুখের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়া। বড়দেরও অভ্যাস আছে কোনো কিছু যেমন- কটনবাড, মুরগির পালক, ম্যাচের কাঠি দিয়ে কান খোঁচানো বা চুলকানো। খোঁচানোর সময় কাঠি ভেঙে বা কটন কানে রয়ে যেতে পারে। কী কী জিনিস কানে ঢুকতে পারে


  • *কটন বাড বা তুলার অংশ
  • *ম্যাচের কাঠি, পুঁতির দানা, বল-বিয়ারিং
  • *পেনসিলের শিস
  • *পাখির বা মুরগির পালক
  • *শস্যদানা, চাল, ডাল, ধান, ফলের বীজ, মুড়ি, চিড়া
  • *রাবার, কাগজ, ফোম, ছোট ছোট খেলনার অংশ
  • *অনেক সময় জীবন্ত পোকামাকড় যেমন- মশা, মাছি, ছোট তেলাপোকা, পিঁপড়া ইত্যাদি কানের ভেতরে প্রবেশ করতে পারে।

উপসর্গ

  • *কানে প্রচণ্ড অস্বস্তি হওয়া
  • *কানে ব্যথা হওয়া
  • *কানে কম শুনতে পাওয়া
  • *জীবন্ত পোকামাকড় কানে ঢুকে গেলে বিরক্তি ও ভয়েরও উদ্রেক হতে পারে।
 
চিকিৎসা কানে যে কোনো কিছু ঢুকে গেলে চিকিৎসা হল, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেটা বের করে আনা। এ জন্য নাক, কান, গলা বিভাগ আছে এমন হাসপাতাল অথবা ইএনটি বিশেষজ্ঞের কাছে যেতে হবে। কানে জীবন্ত পোকা ঢুকে গেলে অলিভ অয়েল দিতে হবে যাতে এটি মারা যায়, তারপর বের করতে হবে। অনভিজ্ঞ হাতে খোঁচাখুঁচি করবেন না বা অদক্ষ কাউকে দিয়ে বের করার চেষ্টা করবেন না। শিশুরা ভয়ে কান্না বা নড়াচড়া করলে এবং অসহযোগিতা করলে জোরপূর্বক বের করার চেষ্টা না করা উচিৎ। অজ্ঞান করে হাসপাতালে বের করাই উত্তম কাজ। অদক্ষ হাতে চেষ্টা করার জটিলতা

  • *বহিকর্ণে আঘাত লাগা এবং তা থেকে রক্তক্ষরণ হওয়া
  • *কানের পর্দা ফেটে যাওয়া
  • *মধ্যকর্ণের ভেতরে থাকা ছোট অস্থিগুলোতে আঘাত লাগা
  • *শ্রবণশক্তি কমেও যেতে পারে
মানসম্পন্ন কোম্পানির তৈরি খেলনার প্যাকেটের গায়ে বয়সসীমা লেখা থাকে। এতে আরও লেখা থাকে, এ খেলনায় ছোট ছোট পার্টস আছে এবং তা ৩ বছরের নিচের বাচ্চাদের ব্যবহারের জন্য নয়। কানে ঢুকতে পারে এমন ছোট ছোট খেলনা দিয়ে ছোটদের খেলতে দেবেন না। কান খোঁচানো বা চুলকানোর ব্যাপারে বয়স্কদেরও সচেতন হতে হবে। ক্ষতিকর কোনো কিছু দিয়ে কান না খোঁচানো
Flying Twitter Bird Widget By blogermohsin.blogspot.com