হঠাৎ আঘাত পেলে
শরীরের বাইরের
ওই নির্দিষ্ট
জায়গায় অতিরিক্ত
চাপ পেলে
ফুলে যায়।
এ ধরনের
আঘাতে যে
সমস্যা হয়
তাকে সফট
টিস্যু ইনজুরি
বলে।
কী হয়-
* আঘাতপ্রাপ্ত জায়গা ফুলে যায়
* প্রচণ্ড ব্যথা হয় ওই অংশটি লাল হয়ে যায় এবং গরম থাকে এবং এটা হয় কোনো দুর্ঘটনায় আঘাত পেলে, খেলাধুলার সময় আঘাত পেলে, মাংসপেশিতে হঠাৎ টান লাগলে কিংবা পা পিছলে পড়ে গেলে- এসব কারণে সফট টিস্যু ইনজুরি হয়। আঘাতের তীব্রতা বেশি হলে হাড় ভেঙে যেতে পারে।
* আঘাতপ্রাপ্ত জায়গা ফুলে যায়
* প্রচণ্ড ব্যথা হয় ওই অংশটি লাল হয়ে যায় এবং গরম থাকে এবং এটা হয় কোনো দুর্ঘটনায় আঘাত পেলে, খেলাধুলার সময় আঘাত পেলে, মাংসপেশিতে হঠাৎ টান লাগলে কিংবা পা পিছলে পড়ে গেলে- এসব কারণে সফট টিস্যু ইনজুরি হয়। আঘাতের তীব্রতা বেশি হলে হাড় ভেঙে যেতে পারে।
কী করবেন
রোগীকে ৬-৭ দিন
পূর্ণ বিশ্রামে
থাকতে হয়।
লক্ষ্য রাখতে
হবে রোগী
আবার যেন
আঘাত না
পায়। আক্রান্ত
জায়গায় বরফ
ব্যবহার করতে
হবে ১৫-২০ মিনিট
ধরে। ভিজা
গামছার ভেতর
বরফ নিয়ে
আক্রান্ত অংশে
মুড়িয়ে দিন।
যদি বেশি
ঠাণ্ডা লাগে
৩ মিনিট
পর উঠিয়ে
ফেলুন শুকনো
কাপড় দিয়ে
মুছে আবার
১২-১৪
মিনিট ধরে
পেঁচিয়ে রাখুন।
আক্রান্ত অংশ
ফুলে গেলে
ক্রেব ব্যান্ডেজ
দিয়ে পেঁচিয়ে
রাখুন। যাতে
আর ফুলতে
না পারে।
আক্রান্ত অংশ
বালিশ বা
অন্য কিছু
দিয়ে উঁচু
করে রাখুন
যাতে হৃৎপিণ্ড
বরাবর থাকে।
এ অবস্থায়
হালকা ব্যায়াম,
হালকা ম্যাসাজ,
আল্ট্রাসাউন্ড থেরাপি ব্যথা কমাতে সাহায্য
করবে।
দ্বিতীয় ধাপ- এ ধাপকে রিপেয়ারিং স্টেজ বলে। এর সময় ৭-২১ দিন। এ সময় ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা হল- ডিপ ফ্রিকশন টেকনিক
বিভিন্ন স্টেচিং
এক্সারসাইজ থেরাপি
মাংসপেশি কন্ট্রাকশন
এক্সারসাইজ
ব্যথা কমানোর
জন্য ইলেকট্রো
থেরাপি নেওয়া
যেতে পারে।
এ ধাপটি
যদি সঠিকভাবে
মেনে চলা
না হয়
তাহলে আক্রান্ত
অংশের মাংসপেশিতে
স্কার বা
অ্যাডহিশন বা দাগ পড়ে, যা
রোগীকে দীর্ঘ
সময় ধরে
ব্যথায় ভোগাতে
পারে।
তৃতীয় ধাপ-
রিমডেলিং ধাপ।
এ ধাপটি
২১ দিন
পর শুরু
হয়। এ
পর্যায়ের উদ্দেশ্য
হচ্ছে রোগীকে
সাপোর্ট দিয়ে
আগের স্বাভাবিক
অবস্থায় এবং
কাজে ফিরিয়ে
আনা। ফিজিওথেরাপিস্ট
রোগীর আক্রান্ত
অংশের এক্সারসাইজ
করাবেন এবং
ডিপফ্লিকশন টেকনিক ব্যবহার করবেন। হিট
থেরাপিও কাজে
আসতে পারে।
এ সমস্যাটি
বা ইনজুরিটি
যদি কোমরে
হয়, তাহলে
যে সমস্যাগুলো
দেখা দিতে
পারে
হাঁচি অথবা
কাশি দিতে
গিয়ে কোমরে
ব্যথা লাগবে
কোমরের ব্যথা
পায়ে ছড়িয়ে
যায় এবং
অনেক সময়
ব্যথা শুধু
পায়েই অনুভূত
হয়, কোমরে
নাও হতে
পারে।
হাঁটলে বা
কাজ করলে
ব্যথা বেড়ে
যায়, রাতে
ঘুমেরও ব্যাঘাত
হতে পারে।
অনেক সময়
রোগী পায়ে
ঝিনঝিন, অবশ
ভাব ও
দুর্বলতা অনুভব
করেন।
কোনো কোনো
রোগীর কোমর
একদিকে বেঁকে
যায় এবং
চিত হয়ে
শুয়ে পা
উঁচু করলে
তার ব্যথা
অনুভূত হবে।
এ অবস্থায়
ভারী জিনিস
উত্তোলন নিষেধ
এবং শারীরিক
ব্যায়াম অবশ্যই
বন্ধ থাকবে।
নরম খাবার
খেতে হবে
যাতে কোষ্ঠকাঠিন্য
না হয়।
এ রোগীর
ক্ষেত্রে প্রথমেই
দরকার ফিজিক্যাল
বা
শারীরিক অ্যাসেসমেন্ট,
তারপর যে
কারণে ব্যথা
হয়েছে সেটা
খুঁজে বের
করা। ব্যথার
কারণ বের
করে যদি
সঠিক অবস্থানে
আনা যায়,
তাহলে ব্যথা
কমে যাবে।
হাড়, জোড়া,
মাংসপেশি, নার্ভ, লিগামেন্টের অবস্থানগত পরিবর্তনের
জন্য ব্যথা
হয়।
লেখক : কনসালটেন্ট-পুপলার মেডিক্যাল
কলেজ অ্যান্ড
হসপিটাল, ধানমণ্ডি,
ঢাকা