শুনে হয়তো অবাক হবেন, শুধুমাত্র গর্ভনিরোধক হিসেবেই নয়, অনেক ধরনের
শারীরিক সমস্যায় কন্ট্রাসেপটিভ পিল দারুণ রকম কাজ দেয়। হয়তো সেই
সমস্যাগুলোর কথা ভেবে আদৌ পিল ব্যবহার করা হয়নি। কিন্তু যাঁরা পিল নিয়মিত
ব্যবহার করে আসছেন, তাঁরা অজান্তেই সেই উপকারগুলো পেয়ে চলেছেন। বলতে পারেন
এটা এক ধরনের বোনাস পাওয়া। এ রকমই কয়েকটা না জানা উপকারের কথা এই পর্বে
জানাচ্ছি।
১) ব্রেস্ট ক্যানসার
ক্যানসার থেকে ব্রেস্টকে রক্ষা করে। ফাইব্রোমাস বা ফাইব্রোসিস্টিক ব্রেস্টে তৈরি হওয়া এক রকমের লাম্প। অনেক দিন যাঁরা পিল নিচ্ছেন তাঁদের এই সমস্যা কম হয়। বিনাইন ব্রেস্ট ডিজিসও পরবর্তীতে ক্যানসারের পরিবর্তিত হতে পারে। পিল বিনাইন ব্রেস্ট ডিজিস বা বিবিডি-র সম্ভাবনা কমায়।
২) ফাইব্রয়েড
ফাইব্রয়েড হল ইউটেরাসের ভেতরকার টিউমার বিশেষ। এগুলি ছোট্ট আলপিনের মাথা থেকে শুরু করে তরমুজের মতো বিশাল আকারেরও হতে পারে। সাধারণত এগুলো ম্যালিগন্যান্ট বা ক্যানসারাস হয় না। তাই বেশির ভাগ সময়ই এর কোনও ট্রিটমেন্টের দরকার হয় না। তবে সমস্যা হল ফাইব্রয়েড থেকে খুব বেশি ব্লিডিং হয়। এরকম হলে আগে হিস্টেরেকটমি করা হত। অর্থাৎ ইউটেরাসটাই বাদ দিয়ে দেওয়া হত। কিন্তু এখন পিল দিয়েই ফাইব্রয়েডের অতিরিক্ত ব্লিডিং-এর মোকাবিলা করা হয়। কারণ পিল এমনিতেই ইউটেরাস থেকে ব্লিডিং-এর পরিমাণ কমিয়ে দেয়। আর এমনিতেই যাঁরা নিয়মিত পিল খান, তাঁদের তুলনামূলক ভাবে ফাইব্রয়েডও কম হয়।
৩) এন্ডোমেট্রিওসিস
অনেক মহিলাই এন্ডোমেট্রিওসিসের জন্য প্রতি মাসে পিরিয়ডের সময় ভীষণ কষ্ট পান। এর জন্য পিরিয়ডের আগে ও পিরিয়ড চলাকালীন প্রচণ্ড ব্যথা হয়। সহবাসের সময়ও ব্যথা হয়। পিল দিয়েই এ সমস্যার চিকিৎসা করা হয়। পিল ব্লিডিং কমিয়ে দেয়। এন্ডোমেট্রিওসিসের চিকিৎসায় মূলত সিজেনাল পিল দেওয়া হয়। তাতে তিন মাস পর পর পিরিয়ড হয় বলে সমস্যা কমে যায়।
৪) পেলভিক ইনফেকশন
পেলভিক ইনফেকশন সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ডিজিস থেকে হয়। এতে ফেলোপিয়ান টিউবের ক্ষতি হয়। যা বন্ধ্যাত্বের অন্যতম কারণ। তা ছাড়া এর ফলে এক্টোপিক প্রেগন্যান্সির সম্ভাবনা বাড়ে। দেখা গেছে পিল যাঁরা নিয়মিত নেন, তাঁদের এই ধরনের সংক্রমণের সম্ভাবনা অনেক কমে যায়। তবে পিল নিলে ইনফেকশনের সম্ভাবনা কমে ঠিকই, কিন্তু একদমই ইনফেকশন হবে না এমন বলা যায় না।
৫) পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম (পিসিওএস)
ওভারির বাইরের চার ধারের ছোট ছোট সিস্ট থেকে শরীরে নানা হরমোনের সমস্যা হয়। এর থেকে বেশি পরিমাণ পুরুষ হরমোন অ্যান্ড্রোজেন তৈরি হতে থাকে মেয়েদের শরীরে। যার জন্য মুখে অত্যধিক ব্রণ হয়। অবাঞ্ছিত জায়গায় লোম গজায়। এবং পিরিয়ড অনিয়মিত হয়ে পড়ে। হয়তো দুই-তিন মাস পিরিয়ড হল না, তার পর যখন হল তখন অত্যধিক ব্লিডিং শুরু হল। পিল এই ধরনের সিস্টকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাই পিল দিয়েই পিসিওএস-এর ট্রিটমেন্ট করা হয়।
৬) টক্সিক শক সিনড্রোম
পিরিয়ডের সময় কারও কারও এই সমস্যা হতে পারে। এটি হয়ে থাকে পিরিয়ডে ব্যবহৃত প্যাড থেকে। অপরিষ্কার প্যাড ব্যবহার করলে তার মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া বেরিয়ে যোনিপথে ঢুকে পড়ে। সেখানে আরও অনেক ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয়ে সেগুলি রক্তের স্রোতে চলে আসে। তার জন্য প্রবল জ্বর, ত্বকে লাল র্যাশ, বমি, ডায়রিয়ার মতো অজস্র সমস্যা তৈরি হয়। রক্তের চাপ কমে আসে। পিল ব্যবহারকারীদের এই ধরনের সংক্রমণ কম হয়।
৭) অস্টিয়োপোরেসিস ও হাড় ও অস্থির সংযোগস্থলের ব্যথা
যে সব মহিলা নিয়মিত পিল নেন, দেখা গেছে তাঁদের অস্টিয়োপোরেসিস কম হয়। অস্টিয়োপোরেসিসে হাড় পাতলা হয়ে আসে। ফলে সামান্য আঘাতেই ভেঙে যায়। দেখা গেছে যাঁরা পিল খান, মেনোপজের পর তাঁদের হাড় খুব বেশি পাতলা হয় না অর্থাৎ হাড়ের ডেনসিটি কমে না। ফলে অস্টিয়োপোরেসিসের সম্ভাবনাও কমে যায়।
৮) গ্যাস্ট্রিক বা ডিয়োডেনাল আলসার
নিয়মিত পিল খেলে গ্যাস্ট্রিক বা ডিয়োডেনাল আলসারের প্রবণতা কমে।
৯) ব্রণ ও হিরসুটিজম বা শরীরের অবাঞ্ছিত জায়গায় লোম
পিল খেলে অতিরিক্ত ব্রণর প্রবণতা কমে। হিরসুটিজম বা শরীরের অবাঞ্ছিত জায়গায় লোমের হাত থেকে অনেকটাই বাঁচিয়ে দেয় আধুনিক লো-ডোজ পিল। ইলেকট্রোলাইসিসের মতো যন্ত্রণাদায়ক উপায়ে অবাঞ্ছিত লোমকে উপড়ানোর দরকার পড়ে না।
১০) পিরিয়ড ও পিল
পিল খেলে পিরিয়ড মোটামুটি ভাবে কবে হবে তা আগে থেকে আন্দাজ করা যায়।
পিল নিলে অ্যানিমিয়া কম হয়। কারণ পিল খেলে প্রতি মাসে পিরিয়ডের সময় ব্লিডিং কম হয়। তাই শরীর থেকে আয়রন কম বেরোয়।
ইউটেরাস অত্যধিক সংকুচিত হওয়ায় পিরিয়ডের সময় ব্যথা হয় অনেকেরই। এর অন্য কারণটি হল পিরিয়ডের সময় প্রোস্টাগ্ল্যানডিন নামের একটি পদার্থ ব্যথা তৈরি করে। কিন্তু পিল নিলে ইউটেরাসের লাইনিং পাতলা হয়, ফলে প্রোস্টাগ্ল্যানডিন কম তৈরি হয়। তাই পিরিয়ডের সময় ব্যথাও কম হয়।
ক্যানসার থেকে ব্রেস্টকে রক্ষা করে। ফাইব্রোমাস বা ফাইব্রোসিস্টিক ব্রেস্টে তৈরি হওয়া এক রকমের লাম্প। অনেক দিন যাঁরা পিল নিচ্ছেন তাঁদের এই সমস্যা কম হয়। বিনাইন ব্রেস্ট ডিজিসও পরবর্তীতে ক্যানসারের পরিবর্তিত হতে পারে। পিল বিনাইন ব্রেস্ট ডিজিস বা বিবিডি-র সম্ভাবনা কমায়।
২) ফাইব্রয়েড
ফাইব্রয়েড হল ইউটেরাসের ভেতরকার টিউমার বিশেষ। এগুলি ছোট্ট আলপিনের মাথা থেকে শুরু করে তরমুজের মতো বিশাল আকারেরও হতে পারে। সাধারণত এগুলো ম্যালিগন্যান্ট বা ক্যানসারাস হয় না। তাই বেশির ভাগ সময়ই এর কোনও ট্রিটমেন্টের দরকার হয় না। তবে সমস্যা হল ফাইব্রয়েড থেকে খুব বেশি ব্লিডিং হয়। এরকম হলে আগে হিস্টেরেকটমি করা হত। অর্থাৎ ইউটেরাসটাই বাদ দিয়ে দেওয়া হত। কিন্তু এখন পিল দিয়েই ফাইব্রয়েডের অতিরিক্ত ব্লিডিং-এর মোকাবিলা করা হয়। কারণ পিল এমনিতেই ইউটেরাস থেকে ব্লিডিং-এর পরিমাণ কমিয়ে দেয়। আর এমনিতেই যাঁরা নিয়মিত পিল খান, তাঁদের তুলনামূলক ভাবে ফাইব্রয়েডও কম হয়।
৩) এন্ডোমেট্রিওসিস
অনেক মহিলাই এন্ডোমেট্রিওসিসের জন্য প্রতি মাসে পিরিয়ডের সময় ভীষণ কষ্ট পান। এর জন্য পিরিয়ডের আগে ও পিরিয়ড চলাকালীন প্রচণ্ড ব্যথা হয়। সহবাসের সময়ও ব্যথা হয়। পিল দিয়েই এ সমস্যার চিকিৎসা করা হয়। পিল ব্লিডিং কমিয়ে দেয়। এন্ডোমেট্রিওসিসের চিকিৎসায় মূলত সিজেনাল পিল দেওয়া হয়। তাতে তিন মাস পর পর পিরিয়ড হয় বলে সমস্যা কমে যায়।
৪) পেলভিক ইনফেকশন
পেলভিক ইনফেকশন সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ডিজিস থেকে হয়। এতে ফেলোপিয়ান টিউবের ক্ষতি হয়। যা বন্ধ্যাত্বের অন্যতম কারণ। তা ছাড়া এর ফলে এক্টোপিক প্রেগন্যান্সির সম্ভাবনা বাড়ে। দেখা গেছে পিল যাঁরা নিয়মিত নেন, তাঁদের এই ধরনের সংক্রমণের সম্ভাবনা অনেক কমে যায়। তবে পিল নিলে ইনফেকশনের সম্ভাবনা কমে ঠিকই, কিন্তু একদমই ইনফেকশন হবে না এমন বলা যায় না।
৫) পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম (পিসিওএস)
ওভারির বাইরের চার ধারের ছোট ছোট সিস্ট থেকে শরীরে নানা হরমোনের সমস্যা হয়। এর থেকে বেশি পরিমাণ পুরুষ হরমোন অ্যান্ড্রোজেন তৈরি হতে থাকে মেয়েদের শরীরে। যার জন্য মুখে অত্যধিক ব্রণ হয়। অবাঞ্ছিত জায়গায় লোম গজায়। এবং পিরিয়ড অনিয়মিত হয়ে পড়ে। হয়তো দুই-তিন মাস পিরিয়ড হল না, তার পর যখন হল তখন অত্যধিক ব্লিডিং শুরু হল। পিল এই ধরনের সিস্টকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাই পিল দিয়েই পিসিওএস-এর ট্রিটমেন্ট করা হয়।
৬) টক্সিক শক সিনড্রোম
পিরিয়ডের সময় কারও কারও এই সমস্যা হতে পারে। এটি হয়ে থাকে পিরিয়ডে ব্যবহৃত প্যাড থেকে। অপরিষ্কার প্যাড ব্যবহার করলে তার মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া বেরিয়ে যোনিপথে ঢুকে পড়ে। সেখানে আরও অনেক ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয়ে সেগুলি রক্তের স্রোতে চলে আসে। তার জন্য প্রবল জ্বর, ত্বকে লাল র্যাশ, বমি, ডায়রিয়ার মতো অজস্র সমস্যা তৈরি হয়। রক্তের চাপ কমে আসে। পিল ব্যবহারকারীদের এই ধরনের সংক্রমণ কম হয়।
৭) অস্টিয়োপোরেসিস ও হাড় ও অস্থির সংযোগস্থলের ব্যথা
যে সব মহিলা নিয়মিত পিল নেন, দেখা গেছে তাঁদের অস্টিয়োপোরেসিস কম হয়। অস্টিয়োপোরেসিসে হাড় পাতলা হয়ে আসে। ফলে সামান্য আঘাতেই ভেঙে যায়। দেখা গেছে যাঁরা পিল খান, মেনোপজের পর তাঁদের হাড় খুব বেশি পাতলা হয় না অর্থাৎ হাড়ের ডেনসিটি কমে না। ফলে অস্টিয়োপোরেসিসের সম্ভাবনাও কমে যায়।
৮) গ্যাস্ট্রিক বা ডিয়োডেনাল আলসার
নিয়মিত পিল খেলে গ্যাস্ট্রিক বা ডিয়োডেনাল আলসারের প্রবণতা কমে।
৯) ব্রণ ও হিরসুটিজম বা শরীরের অবাঞ্ছিত জায়গায় লোম
পিল খেলে অতিরিক্ত ব্রণর প্রবণতা কমে। হিরসুটিজম বা শরীরের অবাঞ্ছিত জায়গায় লোমের হাত থেকে অনেকটাই বাঁচিয়ে দেয় আধুনিক লো-ডোজ পিল। ইলেকট্রোলাইসিসের মতো যন্ত্রণাদায়ক উপায়ে অবাঞ্ছিত লোমকে উপড়ানোর দরকার পড়ে না।
১০) পিরিয়ড ও পিল
পিল খেলে পিরিয়ড মোটামুটি ভাবে কবে হবে তা আগে থেকে আন্দাজ করা যায়।
পিল নিলে অ্যানিমিয়া কম হয়। কারণ পিল খেলে প্রতি মাসে পিরিয়ডের সময় ব্লিডিং কম হয়। তাই শরীর থেকে আয়রন কম বেরোয়।
ইউটেরাস অত্যধিক সংকুচিত হওয়ায় পিরিয়ডের সময় ব্যথা হয় অনেকেরই। এর অন্য কারণটি হল পিরিয়ডের সময় প্রোস্টাগ্ল্যানডিন নামের একটি পদার্থ ব্যথা তৈরি করে। কিন্তু পিল নিলে ইউটেরাসের লাইনিং পাতলা হয়, ফলে প্রোস্টাগ্ল্যানডিন কম তৈরি হয়। তাই পিরিয়ডের সময় ব্যথাও কম হয়।