বন্ধুরা আসুন আজকে জেনে নেই কিছু স্বাস্থ্য বিষয়ে। আজকের বিষয় হার্ট অ্যাটাক কিভাবে হয় । সারাক্ষণ হার্টের কাজ করার জন্য প্রয়োজন হয় অক্সিজেন ও পুষ্টি। এই অক্সিজেন ও পুষ্টি সরবরাহের জন্য রয়েছে হার্টের নিজস্ব রক্তনালি। মূলত তিনটি রক্তনালি তাদের শাখা-প্রশাখার মাধ্যমে রক্ত সরবরাহ করে থাকে হার্টের মাংসপেশিতে। পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু এই তিনটি রক্তনালি বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণেই হয়। নিম্নে তা উল্লেখ করা হল : -
হার্ট অ্যাটাক কীভাবে হয়:
তিনটি রক্তনালির যেকোনো একটি যদি সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে হার্ট অ্যাটাক হয়। রক্তনালি যদি আস্তে আস্তে অনেক দিন ধরে বন্ধ হয়, তাহলে হার্ট অ্যাটাক নাও হতে পারে, কিন্তু হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে গেলে অবশ্যই হার্ট অ্যাটাক হবে।
অনেকের শরীরে বিভিন্ন রক্তনালিতে চর্বি জমে এবং রক্তনালি সরু হতে থাকে। ফলে বিভিন্ন অঙ্গে রক্ত সরবরাহ কমতে থাকে। হঠাৎ করে রক্তনালি বন্ধ হয়ে যাবে কি না, তা নির্ভর করে রক্তনালির মধ্যে জমে থাকা চর্বির ভেতরের দিকের যে আবরণ থাকে, তার ধরনের ওপর। ভেতরের দিকের আবরণ ফেটে গেলে সেখানে রক্ত জমাট বেঁধে রক্তনালির সরবরাহ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেয়। ফলে হার্টের মাংসপেশি নষ্ট হতে থাকে এবং এটাকেই হার্ট অ্যাটাক বলা হয়। তবে আট ঘণ্টার মধ্যে যদি রক্তনালি খুলে দেওয়া যায়, তাহলে হার্টের মাংসপেশিকে রক্ষা করা সম্ভব। গবেষণায় বিভিন্ন ফ্যাক্টরকে রক্তনালির ওপরের আবরণ ফেটে যাওয়ার জন্য দায়ী করা হয়ে থাকে, যেমন—
অনেকের শরীরে বিভিন্ন রক্তনালিতে চর্বি জমে এবং রক্তনালি সরু হতে থাকে। ফলে বিভিন্ন অঙ্গে রক্ত সরবরাহ কমতে থাকে। হঠাৎ করে রক্তনালি বন্ধ হয়ে যাবে কি না, তা নির্ভর করে রক্তনালির মধ্যে জমে থাকা চর্বির ভেতরের দিকের যে আবরণ থাকে, তার ধরনের ওপর। ভেতরের দিকের আবরণ ফেটে গেলে সেখানে রক্ত জমাট বেঁধে রক্তনালির সরবরাহ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেয়। ফলে হার্টের মাংসপেশি নষ্ট হতে থাকে এবং এটাকেই হার্ট অ্যাটাক বলা হয়। তবে আট ঘণ্টার মধ্যে যদি রক্তনালি খুলে দেওয়া যায়, তাহলে হার্টের মাংসপেশিকে রক্ষা করা সম্ভব। গবেষণায় বিভিন্ন ফ্যাক্টরকে রক্তনালির ওপরের আবরণ ফেটে যাওয়ার জন্য দায়ী করা হয়ে থাকে, যেমন—
- অতিরিক্ত পরিশ্রম করা, যে পরিশ্রমে শরীর অভ্যস্ত নয়।
- অতিরিক্ত খাওয়া ও খাওয়ার পরপর শারীরিক পরিশ্রম করা।
- একসঙ্গে অতিরিক্ত ধূমপান করা।
- নিদ্রাহীনতা।
- অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করা।
- হঠাৎ উত্তেজিত হওয়া বা রেগে যাওয়া।
- শরীরে যেকোনো ধরনের ইনফেকশন।
হার্ট অ্যাটাকের উপসর্গ :
সাধারণত বুকের মাঝখানে ব্যথা হয়। কখনো কখনো বুক চেপে আসা, বুক ভারী লাগা, বুক জ্বলে যাওয়া এ রকম উপসর্গ হতে পারে। বসা, শোয়া অবস্থায়ও ব্যথা হয়, ব্যথাটা বাঁ হাতে, গলায়, পেছনে ছড়িয়ে যেতে পারে। ব্যথার সঙ্গে ঘাম, বমি হওয়া ও শ্বাস বন্ধ হয়ে আসতে পারে।
হার্ট অ্যাটাক কীভাবে এড়িয়ে চলা যায়:
- যেসব কারণে রক্তনালির আবরণ ফেটে যায়, সেগুলোকে এড়িয়ে চলা।
- নিয়মিত হাঁটা। হাঁটলে হার্টে নতুন নতুন রক্তনালি তৈরি হয়।
- যাঁদের বয়স ৪০ বছর পার হয়ে গেছে এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেশি, তাঁরাl নিয়মিত অ্যাসপিরিন জাতীয় ওষুধ খেতে থাকলে রক্ত জমাট বাঁধার প্রবণতা কমে যায়।
- কোলস্টেরল কমানোর ওষুধগুলো রক্তে কোলস্টেরলের মাত্রা কমানোl ছাড়াও রক্তনালির ওপর জমে থাকা চর্বির আবরণ শক্ত করে এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়।
- আসুন, আমরা সবাই সচেতন হই এবং হার্ট অ্যাটাক এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি।
আসুন আমরা আমাদের প্রিয় হার্ট টিকে যত্নে রাখি ৷
সুত্র- ইন্টারনেট।