তথ্যপ্রযুক্তির এ যুগে রাত জাগা মানুষের সংখ্যা দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব পুরুষ রাত জাগেন এবং সকালে অনেক দেরিতে ঘুম থেকে ওঠেন আর যারা দ্রুত বিছানায় যায় ও ভোরে ঘুম থেকে ওঠেন এই দুই দলের মধ্যে মনস্তাত্বিক কিছু পার্থক্য রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো ইউনিভার্সিটির 'তুলনামূলক মানব উন্নয়ন' বিভাগের অধ্যাপক দারিও মেস্ত্রিপেইরি বলেন, নারী হোক আর পুরুষই হোক, যারা রাত জাগতে ভালোবাসে, তারা সাধারণত বিয়ে থেকে দূরে থাকতে চায় কিংবা তাদের রোমান্টিক সম্পর্কের মেয়াদ বেশিদিন স্থায়ী হয় না। আবার যারা সকাল সকাল ঘুমিয়ে পড়েন ও ভোরে বিছানা ছাড়তে অভ্যস্ত, তাদের জৈবিক চাহিদা রাতজাগা পুরুষদের চাইতে কমপক্ষে দ্বিগুণ বেশি।
ইভলিউশনারি সাইকোলজি নামের একটি আন্তর্জাতিক জার্নালে গবেষকদের এ গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়। তারা শিকাগো ইউনিভার্সিটির পাঁচ শতাধিক গ্রাজুয়েট শিক্ষার্থীর ওপর পরিচালিত প্রাথমিক জরিপের তথ্যের ভিত্তিতে নতুন গবেষণার মাধ্যমে এ সিদ্ধান্তে উপনীত হন।
অধ্যাপক মেস্ত্রিপেইরি দেখতে পান, পুরুষের কার্টিসল ও টেস্টোস্টেরন নিঃসরণের লেভেল শুরুতে নারীর তুলনায় বেশি ছিল। অবশ্য যেসব নারী রাত জাগে, তাদের এ দুটো হরমোন নিঃসরণের লেভেল আর্লি বার্ড পুরুষের চেয়ে বেশি। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক গবেষণার পর অধ্যাপক মেস্ত্রিপেইরি সিদ্ধান্ত টানেন এভাবে যে, রাত জাগা পুরুষরা সাধারণত বিয়েতে অনাগ্রহী থাকে।