কিডনি অকেজো হয়ে প্রায় ২০ দিন হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর মারা যান
ব্রাজিলের ২১ বছর বয়সী মডেল আনা ক্যারোলিনা রেস্টন। পাঁচ ফুট আট ইঞ্চি
উচ্চতার এই তরুণীর ওজন ছিল মাত্র ৪০ কেজি। প্রয়োজনের অতিরিক্ত হালকা
গড়নের হওয়া সত্ত্বেও তাঁর বদ্ধমূল ধারণা
ছিল, তিনি স্থূলকায় এবং এ জন্য অনাকর্ষণীয়। ওজন কমানোর জন্য
খাওয়াদাওয়া প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলেন তিনি। ক্রমাগত না খেয়ে থাকার জন্য
তাঁর শারীরিক অবস্থার গুরুতর অবনতি ঘটে। তিনি এনোরেক্সিয়া নারভোসা রোগে
আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এ রোগে ভুক্তভোগীর ৯০ শতাংশই নারী।
স্কুল-কলেজগামী, অর্থাৎ বয়ঃসন্ধিকালের মেয়েদের মধ্যেই এ রোগ বেশি দেখা
যায়। মডেল, নৃত্যশিল্পী, অভিনেত্রী বা এসব পেশায় যেতে ইচ্ছুক অথবা
অতিরিক্ত সৌন্দর্যসচেতন মেয়েদের মধ্যে অস্বাভাবিক এই প্রবণতা বেশি।
এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা স্বেচ্ছায় ওজন কমাতে সচেষ্ট থাকে। খুব কম খাবার গ্রহণ করে। কখনো খাওয়ার পর গলায় আঙুল ঢুকিয়ে বমি করে। অতিরিক্ত ব্যায়াম করে। খাদ্যে রুচি নষ্ট করে বা মলের পরিমাণ বাড়ানোর ওষুধ সেবন করে। নিজের দেহ, চেহারা ও ওজন সম্পর্কে এসব রোগীর অনেক ভুল ধারণা থাকে। সব সময় তারা ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় ভীত থাকে। ক্রমাগত ওজন কমানোর নানা অস্বাস্থ্যকর চেষ্টায় তাদের দেহে নানা জটিলতা দেখা দেয়। এ ধরনের রোগীরা বিষণ্নতায় আক্রান্ত থাকে। মেজাজ খিটখিটে হয়। অনেকে মাদকাসক্তও হয়ে পড়ে। আত্মহত্যার প্রবণতা অন্যদের চেয়ে বেশি থাকে।
চিকিৎসার প্রথম ধাপটি হচ্ছে রোগীকে সঠিক ওজনে ফিরিয়ে আনা। খাবার গ্রহণের পরিমাণ বাড়াতে হবে। মুখে খাওয়ানো সম্ভব না হলে শিরাপথে স্যালাইন দেওয়া হয়। সাইকোথেরাপির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বিষণ্নতায় আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট-জাতীয় ওষুধ দেওয়া যেতে পারে। মনে রাখতে হবে, এনোরেক্সিয়া নারভোসা রোগের চিকিৎসা সময়সাপেক্ষ।
এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা স্বেচ্ছায় ওজন কমাতে সচেষ্ট থাকে। খুব কম খাবার গ্রহণ করে। কখনো খাওয়ার পর গলায় আঙুল ঢুকিয়ে বমি করে। অতিরিক্ত ব্যায়াম করে। খাদ্যে রুচি নষ্ট করে বা মলের পরিমাণ বাড়ানোর ওষুধ সেবন করে। নিজের দেহ, চেহারা ও ওজন সম্পর্কে এসব রোগীর অনেক ভুল ধারণা থাকে। সব সময় তারা ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় ভীত থাকে। ক্রমাগত ওজন কমানোর নানা অস্বাস্থ্যকর চেষ্টায় তাদের দেহে নানা জটিলতা দেখা দেয়। এ ধরনের রোগীরা বিষণ্নতায় আক্রান্ত থাকে। মেজাজ খিটখিটে হয়। অনেকে মাদকাসক্তও হয়ে পড়ে। আত্মহত্যার প্রবণতা অন্যদের চেয়ে বেশি থাকে।
চিকিৎসার প্রথম ধাপটি হচ্ছে রোগীকে সঠিক ওজনে ফিরিয়ে আনা। খাবার গ্রহণের পরিমাণ বাড়াতে হবে। মুখে খাওয়ানো সম্ভব না হলে শিরাপথে স্যালাইন দেওয়া হয়। সাইকোথেরাপির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বিষণ্নতায় আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট-জাতীয় ওষুধ দেওয়া যেতে পারে। মনে রাখতে হবে, এনোরেক্সিয়া নারভোসা রোগের চিকিৎসা সময়সাপেক্ষ।