আমরা সবাই কম-বেশি ওয়াই-ফাই (WI-FI) এর সাথে মোটামুটি পরিচিত। এখন মেট্রোপলিটান সিটি এর যত্রতত্র WI-FI বেশ সহজলভ্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর টি এস সি চত্বরে WI-FI ব্যাবহার করার জন্যে ভিড় জমায় হাজার হাজার তরুণ তরুণী। বাংলাদেশের পাবলিক, প্রকৌশল প্রাইভেট ভার্সিটিগুলোতে সহজে স্থান করে নিয়েছে এই প্রযুক্তি। কিন্তু WI-FI প্রযুক্তির ঘোর কাটতে না কাটতেই তার জায়গা দখল করে নিল আরেক প্রযুক্তি LI-FI. আসুন জেনে নেই এর অদ্যোপান্ত...
যেভাবে শুরু হল যাত্রাঃ-------
"আলট্রা-প্যারালাল ভিজিবল লাইট কম্যুনিকেশন প্রজেক্ট" নিয়ে কাজ শুরু করেছিল ইউনিভার্সিটি অব এডিনবার্গ (UK), অক্সফোর্ড, ক্যামব্রিজ এর মত জাঁদরেল কিছু ইউনিভার্সিটির কিছু প্রফেসর। তারা লক্ষ্য করলেন যে, LED (Light Emitting Diode) বাল্বের আলোকে সিগন্যালে রুপান্তর করে এর মাধ্যমে তথ্য স্থানান্তর করা সম্ভব। তারা দৃশ্যমান আলোক বর্ণালী ব্যবহার করে ইন্টারনেটের তথ্য স্থানান্তর করতে সক্ষম হন ২০১৩ সালের অক্টোবর মাসের শেষের দিকে। অতি শীঘ্রই উন্নত দেশগুলোতে চালু হতে যাচ্ছে এ প্রযুক্তি। চীন সরকার এ প্রযুক্তি বাস্তবায়নের জন্য প্রকল্প হাতে নিয়েছেন বলে যানা যায়।
Fig: এডিনবার্গ ইউনিভার্সিটির পদার্থ বিজ্ঞানী প্রফেসর হারাল্ড হাস।
এই আজগুবি নাম LI-FI এর রহস্যঃ
বাবা আদর করে ফদরুদ্দিনকে ডাকেন “ফদু”, বদরুদ্দিনকে “বদু” আর আনয়ারকে ডাকেন “আনু” বলে। আর এরই ধারাবাহিকতায় এডিনবার্গ ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানী প্রফেসর হারাল্ড হাস তার এ আবিস্কারকে আদর করে নাম দিলেন “LI-FI”।
LI-FI এসেছে “Light Fidelity” থেকে। এর আরো একটি সুন্দর নাম আছে।আর সেটা হলো ‘Visual Light Communication’ সংক্ষেপে VLC অর্থাৎ “দৃশ্যমান আলোক দ্বারা যোগাযোগ”।
অন্যদিকে WI-FI এসেছে “Wireless Fidelity” থেকে যাকে অনেকে “Wireless Local Area Network” যার ছোট নাম হল WLAN ।
অন্যদিকে WI-FI এসেছে “Wireless Fidelity” থেকে যাকে অনেকে “Wireless Local Area Network” যার ছোট নাম হল WLAN ।
দেখা যাক কেন LI-FI প্রযুক্তি WI-FI থেকে এগিয়েঃ----
- এটা WI-FI এর চেয়ে সস্তা ও সহজলভ্য হবে।
- এটা দৃশ্যমান আলোর সিগন্যাল ব্যবহার করে কাজ করে বলে শারীরিক ক্ষতির সম্ভাবনাও কম।
- রেডিও ফ্রিকুয়েন্সি এর ব্যান্ডউইথ (Bandwidth) এর চেয়ে ১০,০০০ গুণ ব্যান্ডউইথ।
- সুপারফাস্ট ব্রডব্যান্ড (Broadband) এর চেয়ে ২৫০ গুণ দ্রুত ইন্টারনেট কানেকশন।
- WI-FI এর চেয়ে LI-FI এর বিস্তার হবে অধিকতর বেশী এলাকা জুড়ে।
- দূরত্ব বাড়লে LI-FI এর ডাটা ট্রান্সফার স্পীড কমবে না।
- ডাটা ট্রান্সমিশন স্পীড হবে ১০ গিগাবিট/ সেকেন্ড বা ৫০০ মেগাবাইট/সেকেন্ড।
- WI-FI প্রযুক্তি রেডিও তরঙ্গ নির্ভর, আর LI-FI প্রযুক্তি দৃশ্যমান আলোক তরঙ্গ নির্ভর।
- অনেক পরিমাণ ডাটা ট্র্যান্সফার করা সম্ভব।
- LI-FI, WI-FI হতে অধিকতর নিরাপদ-বিশেষত হ্যাকারদের হাত হতে ডাটা রক্ষা করবার জন্যে।
Li-FI যেভাবে কাজ করে তা কিছু ছবির মাধ্যমে দেখান হলঃ----
LI-FI ডাটা ট্রান্সমিশন
Li-FI যেভাবে কাজ করে।
LI-FI ভারসাস WI-FI/WIMAX/এক্স- ওয়্যারলেস সিস্টেমস: