আসসালামু
আলাইকুম
কেমন আছেন সবাই আশা করি ভাল আছেন, আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভাল আছি।
বিজ্ঞান সবসময়ই আমাদের মনে অনেকরকম কৌতূহল জন্মায়। এটা কিভাবে কাজ করে, কেন করে ইত্যাদি। আজ আমি সেসব নিয়েই একটি পোস্ট করবে। আর আপনাদের সাড়া পেলে আরও চালিয়ে যাব। তাই কথা না বাড়িয়ে আজকের পোস্টটি শুরু করছি।
সাধারণ অর্থে আমরা জানি যে
মেশিন মানুষের
মত কাজ
করতে পারে
তাকেই আমরা
রোবট বলে
থাকি। সকল
রোবটের ধারা
পূর্বে থেকেই
ঠিক করে
দেওয়া থাকে।
ফলে রোবট
শুধুমাত্র তাকে নির্দেশিত কাজের ধারা
অনুযায়ী সাড়া
দিয়ে থাকে।
প্রত্যেকটি কাজের জন্য আলাদা আলাদা
ভাবে নির্দেশনা
রোবটের মেমোরিতে
তৈরি করে
দিতে হয়।
এর সাহায্যে
প্রতিকুল পরিবেশে
কাজ করা
এবং স্বয়ংক্রিয়
উৎপাদন খুবই
ব্যইয়বহুল। তাছাড়া রোবট যে নির্দেশনা
অনুযায়ী কাজ
করে তা
তৈরি করা
খুবই শ্রমসাধ্য
ব্যাপার। ধরুন
কোন একটি
রোবট বাজারে
গেল। সে
দোকানদারের কাছে পাঁচশো টাকার নোট
ভাংতি চাইল।
দোকানদার তাকে
১০০ টাকার
৪টি নোট
ও ৫০টাকার
২টি নোট
দিল। এখানে
ধরুন যে,
রোবটটির মাথায়
এমন প্রোগ্রাম
করা আছে
যে সে
কেবল ১০০
টাকার ৫টি
নোট দিলেই
কেবল বুঝতে
পারবে যে
তাকে ৫০০টাকা
দেওয়া হয়েছে।
তাই তাকে
১০০ টাকার
৪টি নোট
ও ৫০টাকার
২টি নোট
দিলেও সে
বলবে যে,
তাকে ৫০০টাকা
দেওয়া হয়
নি! এটাই
হচ্ছে রোবটের
সীমাবদ্ধতা যা আমাদের নেই। New Collegiate ডিকশনারী মতে, 'রোবট হচ্ছে একটি স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা যা,মানুষ যেভাবে কাজ করতে পারে অথবা এর কাজের ধরন দেখে মনে হবে এর কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা আছে।' প্রত্যেকটি নতুন কাজ রোবট
দ্বারা করার
জন্য যে
নির্দেশনা তৈরি করতে হয়,তাতে
হাজার হাজার
কম্পিউটার কোড ব্যাবহার করতে হয়।
তবে আমাদের
বিজ্ঞানীরা কিভাবে এই নিরদেসনাকে সহজ
করা যায়
এবং বেশি
পরিমাণ কাজের
নির্দেশনা দেওয়া যায়, তা নিয়ে
গবেষণা চালিয়ে
যাচ্ছেন।
রোবট একটি
স্বনিয়ন্ত্রিত কম্পিউটার পদ্ধতি। এটি অত্যন্ত
দ্রুত ক্লান্তিহীন
ও নিখুঁত
কর্মক্ষম একটি
যন্ত্র। যে
সকল জায়গা
বা কলকারখানায়
কাজ করা
মানুষের পক্ষে
কঠিন ও
ঝুঁকিপূর্ণ সেখানে রোবট দিয়ে কাজ
করানো হয়।
শিল্পকারখানায় রোবট অনর্গল কাজের জন্য
ব্যাবহার করা
হচ্ছে। রোবট
চলাফেরার কাজও
করতে পারে।
রোবট নিয়ন্ত্রণ
করার জন্য
অবশ্যই কম্পিউটার
দরকার। সেদিন
হয়ত আর
বেশি দূরে
নয় যখন
রোবটকে দিয়ে
আরও জটিল
জটিল নির্দেশনা
প্রয়গ করা
সম্ভব হবে।
আমরা সায়েন্স
ফিকশান বইতে
কত রকমের
রোবটই তো
দেখি, হয়ত
এগুলো একসময়
আমাদের মাঝে
বাস্তব রূপ
লাভ করবে।
Curiosity রোবটযানতো বর্তমানে মঙ্গল
গ্রহের অভিযানে
ব্যবহৃত হচ্ছে।
মঙ্গল গবেষণার
ইতিহাসে এটিই
এখন পর্যন্ত
(২০১২) নাসার
বিজ্ঞানীদের সবচেয়ে বড় সাফল্য। এছাড়া
জাপানের মুরাতা
কোম্পানির 'মুরাতা বয়', সনি কর্পোরেশনের
'আইবো' ইত্যাদি
রোবট প্রায়
মানুষের মতই
বিশেষ কোন
কাজ করতে
পারে।
সনি কর্পোরেশনের 'আইবো' রোবটটি যা বিশেষ কোন কাজ করতে সক্ষম।
জাপানের মুরাতা কোম্পানির 'মুরাতা বয়' রোবটটি যা বিশেষ কোন কাজ করতে সক্ষম।
কিউরিওসিটি রোভার ২০১২ খ্রিস্টাব্দে মঙ্গল গ্রহে নাসার প্রেরিত চতুর্থ রোবটযান।
ধন্যবাদ পোস্টটি পড়ার জন্য। দেখা হবে আবার আপনাদের সাথে আগামী পর্বে।