আসসালামু
আলাইকুম
কেমন আছেন সবাই আশা করি ভাল আছেন, আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভাল আছি।
যে কোনও স্ট্রোকই হল ভাসকুলার ডিজিস। অর্থাৎ রক্তনালীতে স্বাভাবিক রক্ত চলাচল আটকে গিয়ে সমস্যাটা হয়।রক্তনালীতে রক্ত জমাট বাঁধার পেছনে খাবারের যথেষ্ট ভূমিকা আছে। তাই আগে থেকেই খাবারের ব্যাপারে সাবধান হলে স্ট্রোক এড়ানো যায়। বিশেষ করে পরিবারে স্ট্রোকের ঘটনা আগে ঘটে থাকলে। আসলে মাথায় রাখতে হবে রক্তনালীগুলোতে প্রিডিসপোজিং ফ্যাক্টর যাতে না জমে। কারণ সেগুলি থেকেই স্ট্রোক হতে পারে।
যে কোনও মানুষের ডায়েট নির্ভর করবে চারটে জিনিসের ওপর। সেক্স, বয়স, ওজন ও উচ্চতা। এগুলির ওপর নির্ভর করবে কোনও মানুষের আদর্শ ওজন কী হওয়া উচিৎ। পাশাপাশি দেখতে হবে সেই মানুষটির লিপিড প্রোফাইল, ডায়বেটিস, আর ইউরিক অ্যাসিড আছে কি না। এগুলি যদি না-ও থাকে, তা হলেও এমন ভাবে খাবার খেতে হবে যাতে এগুলির সম্ভাবনা ভবিষ্যতে কমে।
তিরিশের পর থেকে রোজকার খাবারে ক্যালোরির পরিমাণ বেঁধে দিতে হবে।
খাবারে দরকার কম ফ্যাট, হাই মুফা, কম রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেট, স্বাভাবিক
প্রোটিন, ভিটামিন ও মিনারেল এবং হাই ফাইবার।
ফ্যাট জাতীয় খাবারের কথা শুনলেই আজকের শরীর সচেতন অনেকেই আঁতকে ওঠেন।
শরীরে ফ্যাটের উৎস খাবার। তা ছাড়া লিভারের মধ্য থেকেও ফ্যাট বেরোয়। সমস্যা
হল ফ্যাট দ্রবীভূত হয় না। তাই রক্তের মধ্য দিয়ে সহজে যেতে পারে না। তখন
ফ্যাটের কণা জমে কোলেস্টেশন হয়। সুতরাং খাবারে ফ্যাট বুঝেশুনে খেতে হবে।
তবে সব ধরনের ফ্যাটই যে একই রকম ক্ষতি করে তা নয়। রক্তে ফ্যাট থাকে কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইড আকারে। ফ্যাটের রকমফের আছে। ভিএলডিএল, এলডিএল, এইচডিএল। এলডিএল আর্টারির লাইনিং-এর ক্ষতি করে। এইচডিএল আবার শরীরের জন্য ভাল। তাই রোজকার খাবার এমন হতে হবে, যাতে তার মাধ্যমে এইচডিএল এর পরিমাণ বাড়াব ও এলডিএল-এর পরিমাণ কমাতে হবে।
তবে সব ধরনের ফ্যাটই যে একই রকম ক্ষতি করে তা নয়। রক্তে ফ্যাট থাকে কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইড আকারে। ফ্যাটের রকমফের আছে। ভিএলডিএল, এলডিএল, এইচডিএল। এলডিএল আর্টারির লাইনিং-এর ক্ষতি করে। এইচডিএল আবার শরীরের জন্য ভাল। তাই রোজকার খাবার এমন হতে হবে, যাতে তার মাধ্যমে এইচডিএল এর পরিমাণ বাড়াব ও এলডিএল-এর পরিমাণ কমাতে হবে।
তেল-ঘি-মাখন
পলিঅ্যানস্যাচুরেটড ফ্যাট থাকে সূর্যমুখী তেলে। মনোস্যাচুরেডেট ফ্যাট থাকে অলিভ অয়েলে, সরষের তেল, রাই ব্র্যান অয়েল, সয়াবিনের তেলে। মুফা বা মনোঅ্যানস্যাচুরেটেড ফ্যাট শরীরের জন্য ভাল। তাই বলে যথেচ্ছ নয়। সারা দিনে মোট ২৫-৩০ মিলিলিটারের বেশি না হয়। স্যাচুরেটেড ফ্যাট যেমন ঘি বা মাখনও খেতে হবে। দিনে ১ চামচ। দোকানের ভাজাভুজি না খাওয়াই ভাল। কারণ পোড়া তেলে ট্রানস ফ্যাট করে। যেটা শরীরের পক্ষে খুব খারাপ।
সুস্থ থাকতে
চার-পাঁচটা বাদাম মিলিয়ে মিশিয়ে খাবেন। ঘুম থেকে ওঠার আধ ঘণ্টা পর। (এতে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে)
এর ৪৫ মিনিট পর সাড়ে আটটা থেকে ন’টার মধ্যে ব্রেকফাস্ট। এটা কখনই বাতিল করবেন না। সকালের প্রথম খাবারটা ভালমতো হওয়া দরকার। যদি প্রাণ ভরে কিছু খেতে ইচ্ছে করে, সেটা মাঝেমধ্যে ব্রেকফাস্টে খেতে পারেন।
এর পর সারাদিন রুটিন মেপে খেতে হবে। যাতে প্রয়োজনীয় ক্যালোরি বা খাবারের অন্য উপাদান ব্যালেন্স হয়ে যায়।
২-৩ ঘণ্টা অন্তর অন্তর একটু একটু করে খান।
শোওয়ার দুই ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খান।
জেনে রাখুন
ব্যালেন্স ডায়েট না খেলে অর্থাৎ দিনের পর দিন বেশি কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার যেমন ভাত, রুটি, মিষ্টি, আলু, ফলের রস, চিনি, বা বেশি অ্যালকোহল ইত্যাদি খেলে রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইড লেভেল বেশি হয়।
তেল, ঘি বা অ্যানিম্যাল ফ্যাট দিয়ে রান্না করা খাবার বেশি খেলে এলডিএল বেশি হয়।
যাঁরা কায়িক পরিশ্রম করেন না, তাঁদের ওজন বাড়ে পাশাপাশি এইচডিএল কোলেস্টেরল কমে যায়। এর জন্যই রক্তনালীর ভেতরের অংশে ফ্যাট জমে সেগুলি সরু হতে থাকে। ফলে রক্ত সঞ্চালনে বাধা তৈরি হয়।
যাঁরা তুলনামূলক ভাবে শাকসব্জি ফলমূল কম খান, তাঁদের শরীরে হোমোসিসটিন লেভেল বেড়ে যায় (জন্মগত কারণেও এ রকম হয়) তাঁদের ক্ষেত্রে স্ট্রোকের সম্ভাবনা অনেক বেশি। তাই যদি হোমোসিসটিন লেভেল বেশি হয় তবে প্রথম থেকেই ব্যালান্স ডায়েট খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। এতে বেশি করে শাকসব্জি, টাটকা ফল খেতে হবে আর তুলনামূলক ভাবে আমিষ খাওয়ার পরিমাণ কমাতে হবে।
শোওয়ার দুই ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খান।
জেনে রাখুন
ব্যালেন্স ডায়েট না খেলে অর্থাৎ দিনের পর দিন বেশি কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার যেমন ভাত, রুটি, মিষ্টি, আলু, ফলের রস, চিনি, বা বেশি অ্যালকোহল ইত্যাদি খেলে রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইড লেভেল বেশি হয়।
তেল, ঘি বা অ্যানিম্যাল ফ্যাট দিয়ে রান্না করা খাবার বেশি খেলে এলডিএল বেশি হয়।
যাঁরা কায়িক পরিশ্রম করেন না, তাঁদের ওজন বাড়ে পাশাপাশি এইচডিএল কোলেস্টেরল কমে যায়। এর জন্যই রক্তনালীর ভেতরের অংশে ফ্যাট জমে সেগুলি সরু হতে থাকে। ফলে রক্ত সঞ্চালনে বাধা তৈরি হয়।
যাঁরা তুলনামূলক ভাবে শাকসব্জি ফলমূল কম খান, তাঁদের শরীরে হোমোসিসটিন লেভেল বেড়ে যায় (জন্মগত কারণেও এ রকম হয়) তাঁদের ক্ষেত্রে স্ট্রোকের সম্ভাবনা অনেক বেশি। তাই যদি হোমোসিসটিন লেভেল বেশি হয় তবে প্রথম থেকেই ব্যালান্স ডায়েট খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। এতে বেশি করে শাকসব্জি, টাটকা ফল খেতে হবে আর তুলনামূলক ভাবে আমিষ খাওয়ার পরিমাণ কমাতে হবে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট খেতে হবে। বিভিন্ন রঙের শাকসব্জি খেতে হবে। সেখান
থেকেই ভিটামিন সি, ই এ আর কে পাবেন। ভিটামিন কে অ্যান্টি কোয়াগুলেন্ট যা
রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয়। প্রেসার বেশি থাকলে বা ওজন বেশি হলে বা নুনের মাত্রা কম। স্ট্রেসফুল
লাইফ হলে নুন খাওয়ার মাত্রা কমাতে হবে (১ চা চামচ, ৫গ্রাম। সারা দিনে।)
সব প্যাকেট ফুডে নুনের মাত্রা বেশি থাকে। অতএব সাবধান!
রোজকার খাবার এমন হবে যেন তাতে রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেট (ময়দা, ফলের রস, চিনি ইত্যাদি) কম থাকে। খান ফাইবার যুক্ত কার্বোহাইড্রেট (ব্রাউন ব্রেড, মুড়ি, চিড়ে, খই, পপকর্ন, সেদ্ধ কর্ন ইত্যাদি)।
ডায়াবেটিক হলে সেটা নিয়ন্ত্রণে না থাকলে স্ট্রোকের সম্ভাবনা বাড়ে।
গ্রিন-টি খাওয়ার চেষ্টা করুন। যা দিনে ৭-৮ কাপ পর্যন্ত খেতে পারেন। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তের ভেতর ফ্যাট জমতে বাধা দেয়।
এই রকম খাবারে অভ্যস্ত হলে মেন্টাল স্ট্রেসও কমে যায়। আর এর সঙ্গে অবশ্যই দরকার ঠিকমতো এক্সারসাইজ আর ঘুম।
গ্রিন-টি খাওয়ার চেষ্টা করুন। যা দিনে ৭-৮ কাপ পর্যন্ত খেতে পারেন। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তের ভেতর ফ্যাট জমতে বাধা দেয়।
এই রকম খাবারে অভ্যস্ত হলে মেন্টাল স্ট্রেসও কমে যায়। আর এর সঙ্গে অবশ্যই দরকার ঠিকমতো এক্সারসাইজ আর ঘুম।
সুস্থ থাকতে এটুকু তো করাই যায়, তাই নয় কি?
পরামর্শ দিচ্ছেন অর্পিতা দেব ঘোষ